শিক্ষা ২১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১০:২৭

যে দেশে মাইনাস ৫১ ডিগ্রিতেও চলছে ক্লাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

শৈশবের সেই দিনগুলোর কথা ভোলার নয় শীতের সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য ভোরে ঘুম থেকে জাগার স্মৃতি প্রায় সবারই আছে এমন শীতে ঘুম থেকে জাগতে কী আর মন চায়! তবুও স্কুলে যাওয়ার জন্য বাধ্য হয়েই ঘুম থেকে উঠতে হয় এমন এক অবস্থায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে পৃথিবীর অন্যতম শীতল দেশ সাইবেরিয়া কেননা এই দেশের শিক্ষার্থীরা মাইনাস ৫০ ডিগ্রির তাপামাত্রায় ক্লাস করছেপ্রচণ্ড শীতেও ছোট বাচ্চারা স্কুলে আসে এবং মজায় মজায় ক্লাস করে

তবে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রির নিচে চলে গেলে থেকে ১০ বছর পড়ুয়া বা তারও কম বয়সীদের জন্য স্কুলের ক্লাস বন্ধ রাখা হয় এই স্কুলটি সাইবেরিয়ার ওমায়াকান শহরে ইয়াকুতিয়ায় অবস্থিত আসলে এটি শুধু স্কুল নয়, পোস্ট অফিস এবং ব্যাংকের মতো কিছু প্রাথমিক সুবিধাও আছে সেখানে জীবন ধারণ করা সেখানে মারাত্মক চ্যালেঞ্জিং কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও সেখানে স্কুলে আসে শিক্ষার্থীরা তবে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যও স্কুলে আসা শিক্ষার্থী অভিভাবক এবং কর্মীদের নিয়মিত তাপমাত্রাও পরীক্ষা করা হয়

সেখানে হাতে গ্লাভস না পরলে তুষারপাতের সমস্যায় আঙুলের ক্ষতি হতে পারে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় হাইপোথার্মিয়া হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায় এমন হলে দেহের তাপমাত্রা দ্রুত নামতে শুরু করে এর ফলে দ্রুত হার্টবিট, নার্ভাসনেসসহ মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে

ডিসেম্বর সকাল ৯টা নাগাদ সেখানকার তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিন্তু স্কুল থেমে থাকেনি ১৯৭৩ সালের জানুয়ারির একদিন এই শহরের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

১৯৩২ সালে জোসেফ স্তালিনের সময়ে ওমায়াকান শহরের ইয়াকুতিয়ায় এই স্কুল তৈরি করা হয়েছিল পাশের দুই গ্রাম খারা তিমুল এবং বেরাগ এরদুর শিশুদের পড়াশোনার জন্যই স্কুলের যাত্রা শুরু খারা তিমুল এবং বেরাগ গ্রাম থেকে স্কুলে আসতে ১০ থেকে ১৮ মিনিট সময় লাগে