নিজস্ব প্রতিবেদক
নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন।
আজ শনিবার সকালে জাকিয়া বেগম (৫৫) ও নিহার (১) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে নিহা। মৃত জাকিয়া বেগম নলেরচরের আল আমিন গ্রামের নাছির উদ্দিনের স্ত্রী।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ট্রলারডুবির পর কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে চার ধাপে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এখনও অভিযান চলছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে টাংকিরখাল এলাকার মেঘনা নদী থেকে মোহাম্মদ হাসান নামে ৭ বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হাসান নলেরচরের আল-আমিন গ্রামের থানারহাট বাজারসংলগ্ন এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে।
এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ যাত্রীরা হচ্ছেন- হাতিয়ার নলেরচর (চানন্দি) ইউনিয়নের আল-আমিন গ্রামের নার্গিস বেগম (৪), রুবেল হোসেনের মেয়ে হালিমা বেগম (৫), পূর্ব আজিমপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে নিহা বেগম (১), ভয়ারচর গ্রামের ইলিয়াস উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন (২), ভোলার মনপুরার কলাতলী গ্রামের মাইন উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া বেগম (৩) ও একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আলিফ উদ্দিন (২)।
কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন অফিসার বিশ্বজিৎ বড়ুয়া মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির পর থেকে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড হাতিয়ার দুটি ও ভোলার একটি ডুবুরি দল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
উদ্ধার অভিযান চলাকালে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে টাংকিরখাল এলাকার মেঘনা থেকে ভাসমান অবস্থায় শিশু হাসানের লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার সকালে জাকিয়া বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।