আইন ও আদালত ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০১:৪৪

শেখ হাসিনার বহরে হামলা, অস্ত্র-বিস্ফোরক মামলা চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট

এছাড়া একই ঘটনায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চ্যুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ রায় দেন

আদালতে আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন রাষ্ট্রিপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান

পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে ৩১ আসামির আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট ফলে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম যথারীতি চলবে এছাড়া অস্ত্র আইনের মামলাটির অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেনএই পর্যবেক্ষণের আলোকে অভিযোগ গঠন করতে বলেছেন আদালত

ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় ফেরার পথে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে শেখ হাসিনাকে লক্ষ করে গুলি ছোড়া হয় বোমা বিস্ফোরণ গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে

পরে ২০১৫ সালে ঘটনায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয় এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামি রকিব ওরফে রাকিবুর রহমানের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিল উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিলে আবেদন করা হয় ২০১৭ সালে ওই আবেদনের একই সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সেই রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়  গত অক্টোবর রুলের ওপর শুনানি শেষে অক্টোবর রায় দেন হাইকোর্ট  রায়ে রাকিবের আবেদন খারিজ করে দেন

পাশাপাশি একই ঘটনায় অস্ত্র বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অপর দুটি মামলার অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে আসামিরা ২০১৭ সালে দুটি আপিল করেন

আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে একই বছরের আগস্ট মামলা দুটির পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করে দেনআজ বৃহস্পতিবারের রায়ে ওই স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়া হয়