আন্তর্জাতিক ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৪:৩৩

মহাকাশে নতুন স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে ইসরো

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক 

ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো টেলিকমিউনিকেশনে গতি আনতে নতুন স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে। এতোদিন মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে যোগাযোগ রক্ষা করতো জিস্যাট সিরিজের ভারী কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট। নতুন উপগ্রহও জিস্যাটের গোত্রের তবে আরও আধুনিক। এই স্যাটেলাইটের নাম সিএমএস-০১। 

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর কক্ষপথের দিকে উড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে এই স্যাটেলাইট।

যোগাযোগ রক্ষাকারী পুরনো স্যাটেলাইটের বদলে আধুনিক সিএমএস-০১ কে পৃথিবীর কক্ষে বসানোর পরিকল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই করছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা ৪১ মিনিট নাগাদ পিএসএলভি-সি৫০ রকেটের পিঠে চাপিয়ে এই কৃত্রিম উপগ্রহকে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। 

ইসরো জানাচ্ছে, জিস্যাট-১২ টেলিকমিউনিকেশন স্যাটেলাইটকে বাতিল করে সিএমএস-০১ কে বসানো হবে পৃথিবীর কক্ষে, যা ভারতের দ্বীপগুলোতে ও প্রত্যন্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় দূরন্ত গতি নিয়ে আসবে।

ইসরো জানিয়েছে, এই স্যাটেলাইটের আগে নাম দেওয়া হয়েছিল জিস্যাট-১২ আর। পরে নাম বদলে করা হয় সিএমএস-০১। ২০১১ সাল থেকেই পৃথিবীর কক্ষে ঘুরপাক খাচ্ছে জিস্যাট-১২। ইনস্যাট-৩বি টেলিকমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের বদলে জিস্যাট-১২ কে পাঠানো হয়েছিল। এবার একেই বাতিল করে সে জায়গায় বসবে সিএমএস-০১।

পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথে বসানো হবে এই স্যাটেলাইটকে। ৩৫ হাজার কিলোমিটার কক্ষপথে ৮৩ ডিগ্রি কৌণিক অবস্থানে বসবে সিএমএস-০১। পৃথিবীর কক্ষে এই স্যাটেলাইটকে বসিয়ে দিয়ে আসবে ইসরোর ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ তথা পিএসএলভি রকেট। 

ইসরো জানিয়েছে, এমনভাবে এই স্যাটেলাইটকে বসানো হবে যাতে সেটি পৃথিবীর ঘূর্ণনের সঙ্গে একই গতি ঘুরতে পারে। এই কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট রেডিও যোগাযোগে বিশেষ ভূমিকা নেবে। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লক্ষদ্বীপের টেলি যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। এই কৃত্রিম উপগ্রহের জন্য নিশ্চিত ভাবেই প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে ভারত। আরও উন্নত হবে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা। কেবল দিয়ে ইন্টারনেট যেখানে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়, সেই সব দুর্গম জায়গাতেও পাওয়া যাবে ইন্টারনেট পরিষেবা। অর্থাৎ, আরও কার্যকরী হবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া। সারা ভারতে ব্রডব্যান্ড পরিষেবার উন্নতিতে এই স্যাটেলাইটের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারতের মানুষ পাবে নতুন প্রজন্মের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা।