স্বাস্থ্য সেবা ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০২:৪১

এই শীতে করোনা এড়াবেন যেভাবে

স্বাস্থ্য ডেস্ক

 

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত বিষয় করোনাভাইরাস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত চার লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ছয় হাজারের বেশি মানুষ। এসেছে শীত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সময়ে প্রত্যেকের উচিত আরো সচেতন ও সতর্ক হওয়া।

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ৩৯৬৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. শাকিল মাহমুদ। জানিয়েছেন, শীতে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে আমাদের কী করতে হবে। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন ডা. সারমিন জাহান নিটোল।

শীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শাকিল মাহমুদ বলেন, প্রত্যেকটা ভাইরাসের একটি নিজস্ব ক্যারেকটার আছে। কিছু কিছু পরিবেশে ভাইরাসের গ্রোথ বেড়ে যায়। শীতকালে ভাইরাস বেড়ে যাওয়ার জন্য তিনটি কারণ বর্তমানে বিজ্ঞানীরা শনাক্ত করেছেন। প্রথম কারণ হলো, শীতকালে যেহেতু তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যায়, এ সময় ভাইরাসের রেপ্লিকেশন বেড়ে যায়। রেপ্লিকেশন বাড়লে ভাইরাসের বংশবিস্তার বেড়ে যায়। তখন ভাইরাসের আক্রমণ-হারও বেড়ে যাবে। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, শীতকালে পরিবেশ দূষণ বেশি হয়, ধুলোবালি বেড়ে যায়। সে জন্য শীতকালে করোনা ফ্লু বেড়ে যাবে। আর তিন নম্বর কারণ হচ্ছে, প্রত্যেক ফ্লুর একটা সেকেন্ড ওয়েভ আছে। সোয়াইন ফ্লু, সার্চ ফ্লুরও সেকেন্ড ওয়েভ এসেছিল। আমাদের দেশে ফার্স্ট ওয়েভ শেষ হয়ে গেছে, সেকেন্ড ওয়েব আসবে। সম্ভবত শীতকালে সবচেয়ে বেশি হবে।

শীতে করণীয়

ডা. শাকিল মাহমুদ বলেন, শীতকালে প্রত্যেককে পারসোনাল হাইজিন মেইনটেইন করতে হবে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। যদি আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে না পারি, তবে ভ্যাকসিন সুরক্ষা দিতে পারবে না। এ জন্য মৌলিক কাজ হচ্ছে ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মানতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, ঘনবসতিপূর্ণ স্থান বা পাবলিক প্লেসে কম যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পাবলিক বাসে উঠলেও হ্যান্ডেল না ধরার চেষ্টা করতে হবে। বাজারে কম যাতায়াত করতে হবে। বাজারে গেলে নন-টাচ মেথডে করতে হবে। এ সময় মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে। শীতের কাপড় পরতে হবে। সর্বক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।