নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই করোনা চিকিৎসায় বিলের নামে এক ধরনের ডাকাতি করছে বলে মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এ বিষয়ে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়াজন, যাতে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার না হয়ে সহজেই চিকিৎসা নিতে পারে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, করোনার চিকিৎসায় আকাশচুম্বি খরচ হচ্ছে। ১ হাজার লিটার অক্সিজেনের দাম মাত্র ৭০ টাকা হলেও কোনো কোনো হাসপাতালে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। বিভিন্ন রকম পরীক্ষার নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। পরীক্ষার নামে ডাক্তাররা কমিশন নিয়ে থাকেন। এ জন্য ৪২০ ধারায় মামলা হতে পার।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, একটি বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে করোনার ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করা হয়ছে, তা যদি সরকারি নিজস্ব ওষুধ কোম্পানির মাধ্যমে করা হতো তাহলে প্রতি ভ্যাকসিনে আরও ২ ডলার খরচ কম হতো।
‘গণস্বাস্থ্য সর্বপ্রথম করোনা চিকিৎসায় অ্যান্টিজেন টেস্ট প্রবর্তনের চেষ্টা করেছিল। সরকারের অনুমতির অভাবে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। গ্লোব বায়োটেকের টিকাও প্রমেজিং, সরকারের এই টিকা প্রোমোট করা প্রয়োজন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালত বা জরিমানা করে তা সম্ভব নয়। পাবলিক সার্ভিস প্রণোদনা হিসেবে সবাইকে মাস্ক বিতরণ করা জরুরি।’