Notice: Trying to access array offset on value of type null in /home/u863453615/domains/amaderkagoj.com/public_html/includes/frontend/contents/post.php on line 46

ড্রাগন ফলে ভাগ্য বদল মাগুরার চাষিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

সময়ের প্রয়োজনে লাভজনক ফসল উৎপাদনে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠেছেন মাগুরার চাষিরামাগুরার মাটি এ ফলের চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ড্রাগন ফলের চাষ বেড়েছে কয়েকগুন।

ছোট ছোট বাগান করে এ ফলের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে অনেকে। ড্রাগন ফল চাষিরা জানায়, এ জেলা থেকে প্রতিবছর পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার কেজি ড্রাগন উৎপাদন হয়।

ড্রাগন ফল চাষি মো. শওকত হোসেন জানান, কয়েক বছর আগে অল্প কিছু জমিতে এ চাষ শুরু করেন। বর্তমানে ৭০ শতক জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান করছেন। ড্রাগন চাষে খরচ কম লাভ বেশি। এ পর্যন্ত ৫ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি করেছি। আরো দুই লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি হবে বলে আশা করছি। আমার এই বাগানে জৈব সার বেশি লাগে। রাসায়নিক সার কম লাগে।

ফল ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বলেন, শওকত ভাইয়ের বাগান থেকে ড্রাগন নিয়ে জেলার বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করতাম। কিন্তু দেশের যে পরিস্থিতি সেজন্য অন্য জেলায় গিয়ে ফল বিক্রি করে ফিরে আসা কষ্টকর। বর্তমানে ফোনে অর্ডার নিচ্ছি এরপর কুরিয়ারের মাধ্যমে ফল ডেলিভারি দিচ্ছি। প্রতি কেজি দরে ড্রাগন ফল ৪০০ টাকায় কিনে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

বাগান শ্রমিক আবু কালাম বলেন, শওকত ভাইয়ের বাগানে আমি প্রায় তিন বছর ধরে কাজ করছি। করোনা মহামারিতে অন্য কোথাও কোনো কাজ নেই। এখানে কাজ করে ছেলে-মেয়ে নিয়ে সুখে আছি।

আ

উদ্যানতত্ত্ববিদ ড. খান মনিরুজ্জামান বলেন, ড্রাগন একটি পুষ্টিকর ফল। এ ফলে রয়েছে অধিক পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। মাগুরার বেশ কিছু জায়গায় এই ফলের চাষ হয়। অল্প খরচে অধিক লাভ হয় বলে অনেকেই এই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

ইতোমধ্যে মাগুরা জেলাসহ আশপাশের উপজেলাতেও এই ফলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ফল চাষ করতে জৈব সার একটু বেশি লাগে। রাসায়নিক সার কম লাগে। তাই অধিক লাভ করা যায়।

ড্রাগন ফলের দাম আকার ও আকৃতি ভেদে প্রতি কেজি ফল ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। আমরা হর্টিকালচারের পক্ষ থেকে ড্রাগন ফল চাষে চাষিদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তারা।

 


আরো খবর