শিক্ষা ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৬:০৭

উচ্চমাধ্যমিকে বাদ হতে পারে বিভাগ

ডেস্ক রিপোর্ট

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায় নতুন এক প্রস্তাব রাখা হয়েছে। মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চমাধ্যমিক থেকেও বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বাদ দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা তার আগ্রহ, সামর্থ্য ও ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা অনুযায়ী বিষয় নির্ধারণ করে পড়তে পারবে।

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বুধবার বলেন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগের বিভাজন থাকবে না। আগের মতো গ্রুপ চিহ্নিত করা হবে না। এটা শিক্ষাক্রম রূপরেখায়ও বলা আছে। শিক্ষার্থীরা আবশ্যিক তিনটি বিষয় নিয়ে পরে নৈর্বাচনিক তিনটি বিষয় ও ঐচ্ছিক একটি বিষয় নির্বাচন করতে পারবেন। কেউ পদার্থ, রসায়নের পাশাপাশি অর্থনীতিও পড়তে হবে। তিনি বলেন, মাধ্যমিক স্তর নিয়ে কাজ চলছে। পরে উচ্চ মাধ্যমিকের বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা হবে।

শিক্ষাক্রম রূপরেখা অনুযায়ী, উচ্চমাধ্যমিক স্তরকে বিশেষায়নের জন্য প্রস্তুতির স্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই স্তরে অনেক শিক্ষার্থীকে যেমন উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়, আবার অনেক শিক্ষার্থীকে পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্মজগতে প্রবেশের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়।

তথ্য অনুযায়ী, পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে যেন সে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং ব্যক্তিক, সামাজিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যাতে সে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে সে উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে সব শিক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত দুই/তিনটি বিষয় যা সব শিক্ষার্থীর জন্য আবশ্যিক হবে।

নতুন রূপরেখা অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণি শেষে ও দ্বাদশ শ্রেণি শেষে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সম্মিলিত ফলের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির তিনটি আবশ্যিক বিষয়ে ৩০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়ন ও ৭০ শতাংশ সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে, তিনটি নৈর্বাচনিক/বিশেষায়িত বিষয়ে বিষয়-কাঠামো ও ধারণায়ন অনুযায়ী সামষ্টিক মূল্যায়নের পাশাপাশি প্রজেক্টওয়ার্কভিত্তিক মূল্যায়ন, প্র্যাক্টিক্যাল ও অন্যান্য উপায়ে শিখনকালীন মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে। এছাড়া প্রায়োগিক একটি বিষয় বা ঐচ্ছিক বিষয়ে হাতেকলমে কাজের মাধ্যমে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে।