নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লায় জামে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৭ জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ আপিল বিভাগেও স্থগিত থাকছে। তবে এ বিষয়ে হাইকোর্ট যে রুল জারি করেছিলেন, দ্রুত তার নিষ্পত্তি করতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং সরকারের আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার ও আইনজীবী মার-ই-য়াম খন্দকার।
৯ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৭ জনের পরিবারকে জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় ৫ লাখ টাকা করে দিতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আদালতের আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে ভুক্তভোগীদের মাঝে এ টাকা বিতরণ করতে বলেছিলেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে দগ্ধ ও নিহত ৩৭ জনের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয় সে সময়। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে তিতাস ও সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।
আজ মঙ্গলবার আবেদন দুটি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। এ সময় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ বহাল রেখেই আবেদন দুটি নিষ্পত্তি করে দেন।
প্রসঙ্গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে গ্যাস জমে বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হন, তাদের মধ্যে ৩৪ জন পরে মারা যান। ওই ঘটনায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মার-ই-য়াম খন্দকার ৭ সেপ্টেম্বর জনস্বার্থে এ রিট আবেদন করেন।