অপরাধ ও দুর্নীতি ১৯ নভেম্বর, ২০২০ ০৬:৫২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

নববধূকে কুপিয়ে হত্যা, শ্বশুর-শাশুড়িসহ আটক ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে কোহিনুর খানম নিতু (৩০) নামে এক নববধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মাদকাসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা এলাকার আনু সর্দারের বাড়ির পাশের আলগা বাড়ির আবু চান মিয়া ঘর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত কোহিনুর একই এলাকার আবুল হোসেন মিয়ার মেয়ে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে নিহতের ঘাতক স্বামী জুয়েল মিয়া (৩২) পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

আটকরা হলেন, জুয়েলের বাবা আবু চান মিয়া (৬৮), মা রহিমা বেগম (৫৫), বড় ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়া বেগম (২৯), ছোট ভাই কামরুল ইসলাম (২৮) ও কামরুলের স্ত্রী আর্জিনা বেগম (২৪)।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ছয় মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন কোহিনুর ও জুয়েল মিয়া।দুজনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। উভয়ের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়।তবে জুয়েল মিয়া প্রতিদিন ইয়াবা সেবন করতেন। এরই মধ্যে জুয়েল একটি ওয়ার্কশপ খুলে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেন।

ওয়ার্কশপে নতুন করে বিনিয়োগ করার জন্য দুই মাস আগে কোহিনুরের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন জুয়েল।তবে কোহিনুর টাকা দিতে অপারগতা জানান।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কোহিনুর একই এলাকার বাবার বাড়িতে যান। তবে সেখানে তিনি কোনো সমস্যার কথা জানাননি।

দিবাগত গভীর রাতে জুয়েল বটি দা দিয়ে কোহিনুরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে কম্বল দিয়ে মরদেহ ঢেকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে রাতেই পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।পুলিশ বটি-দা ও জুয়েলের পরিবারের পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।  

কোহিনুরের বাবা আবুল হোসেন জানান, গতকাল বুধবার রাতেও মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়। তবে তাকে কোনো সমস্যার কথা জানাননি কোহিনুর। তিনি তার মেয়ে কোহিনুর হত্যাকারীর বিচার চান।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্রীবাস চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, নিহতের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মরদেহের পাশ থেকে একটি রক্তমাখা বটি-দা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরিবারের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

কোহিনুরের স্বামী জুয়েলকে আটকের চেষ্টা চলছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।