লাইফ স্টাইল ১৯ নভেম্বর, ২০২০ ০৫:৫২

পুরুষ দিবস আজ: যেসব কথা শুনে বিরক্ত তাঁরা

ডেস্ক রিপোর্ট

আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস কবে? উত্তরটা হল ১৯ই নভেম্বর অর্থাৎ আজ।সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা পালনে যোগ্যতর হতে পুরুষকে উৎসাহিত করা হয় এ দিবসে।পুরুষের প্রতি বৈষম্য বিলোপ ও স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রতি বছরের মতো আজ ১৯শে নভেম্বর পালন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস।

ত্রিনিদাদের নাগরিক জেরোম তিলকসিং’র বাবা জন্ম দিনে এ দিবসটি প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর পালন করা হচ্ছে। ১৯৯২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দিবসটি পালনের প্রথম সিদ্ধান্ত হয়।কিছুদিন এটা নিয়ে কোনো হৈ-চৈ ছিল না।পরে ১৯৯৯ সালে ত্রিনিদাদে জেরোম তিলকসিং দিবসটি পুনরায় পালনের উদ্যোগী হন।

চলতি বছর আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘পুরুষ ও ছেলেদের স্বাতন্ত্র্য’। ২০১৮ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘আদর্শ পুরুষ চরিত্র’।সমাজে ও পরিবারে পুরুষের অবদানকে উদযাপন করতেই পুরুষ দিবসের সূচনা হয়।এছাড়া পুরুষ ও ছেলেদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, লিঙ্গ সম্পর্ক, লিঙ্গ সাম্য, আদর্শ পুরুষ চরিত্রকে তুলে ধরাও এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য।

বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক সমতা, বালক ও পুরুষদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং পুরুষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতেই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস উদযাপিত হয়।প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে পালন করা হয় দিবসটি।এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন ইত্যাদি। বাংলাদেশেও দিবসটি ছোট পরিসরে পালিত হয়।

 

এই দিনকে ঘিরে জীবনধারা ও ফ্যাশনবিষয়ক ওয়েবসাইট ব্লোডস্কাই জানিয়েছে মজার তথ্য। এই সমাজে পুরুষেরাও বেশ কিছু কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে উঠেছে। সেই কথাগুলোর কয়েকটি তালিকাও প্রকাশ করেছে তারা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই কথাগুলো—

আসল পুরুষ কাঁদে না’

আমাদের সমাজ এই ধারণায় বিশ্বাস করে, কেবল নারী ও শিশুরা কান্নাকাটি করে। সম্ভবত তারা এ সত্যটি উপলব্ধি করতে পারে না যে একজন পুরুষেরও দুঃখবোধ থাকতে পারে, কষ্ট থাকতে পারে। এর সঙ্গে লিঙ্গের কোনো যোগসূত্র নেই।

পুরুষেরা গোলাপি ও হলুদ পোশাক পরে না’

পুরুষেরা গোলাপি ও হলুদ রঙের পোশাক পরলে এই সমাজে বাঁকা চোখে দেখা হয়। এর কী কারণ সেটা অজানা, তবে কোনো নির্দিষ্ট রং কোনো নির্দিষ্ট লিঙ্গের জন্য সৃষ্টি হয়েছে, এমন ইতিহাস নেই।

পুরুষেরা ব্যথা অনুভব করে না’

সত্যি? ঈশ্বর কি পুরুষদের ব্যথা এড়াতে আলাদা কোনো বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি করেছেন? এমনটি যদি না হয়ে থাকে, তাহলে পুরুষেরা ব্যথা অনুভব করবেন না কেন? তাদের শরীর ও মনে তো ব্যথা অনুভব করার সমস্ত উপকরণ আছে।

গোঁফ ও দাড়ি প্রকৃত পুরুষ করে তোলে’

এই সমাজ গোঁফ ও দাড়ি না রাখলে পুরুষই ভাবতে চায় না। আপনার সমস্ত পুরুষত্ব যেন ফুটে ওঠে ওই গোঁফ ও দাড়িতে। যদিও এই ব্যাখ্যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

পুরুষের উচিত নারীর দায়িত্ব নেওয়া’

আপনার মা, স্ত্রী, কন্যা, বোন এবং বান্ধবীর যত্ন নিঃসন্দেহে আপনি নিতে পারেন। এগুলো সেরা কাজ। তবে উপার্জন করে তাদের দায়িত্ব পুরুষদের গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করে আমাদের সমাজ, যেটা ঠিক নয়। পুরুষ যদি স্বনির্ভর হতে পারে, তবে নারীও পারে।

খেলাধুলায় আগ্রহ না থাকলে আপনি পুরুষ নন’

আপনি খেলাধুলায় আগ্রহী নন, এর অর্থ এই সমাজে আপনি পুরুষ নন। অথচ খেলাধুলা পছন্দ বা অপছন্দ ব্যক্তির ব্যক্তিগত ব্যাপার।

সিনেমা দেখে কাঁদলে আপনি পুরুষ নন’

সিনেমার কোনো দৃশ্য পুরুষ ও নারী উভয়ের কাছে সংবেদনশীল হতে পারে, সেটার জন্য যে কেউ আবেগে ভাসতে পারে। সিনেমা দেখে কাঁদা মেয়েশিশুর বৈশিষ্ট্যযুক্ত, এ কথার কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নেই।