ডেস্ক রিপোর্ট
রাজধানী ঢাকায় বেড়েছে সিএনজি অটোরিক্সা চোরদের দৌরাত্ম। তবে এবার অপরাধীরা বেছে নিয়েছে অভিনব কৌশল। চুরির পর অর্থের বিনিময়ে আবার মালিকের কাছেই হস্তান্তর করা হচ্ছে সিএনজিটি। এমন একটি চক্রকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
অ্যাপস ভিত্তিক প্রাইভেট কার ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও রাজধানী ঢাকায় কমেনি সিএনজি অটোরিক্সার চাহিদা। বরং দিনে দিনে বাড়ছে সংখ্যা। সিএনজি অটোরিক্সা চুরির ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে এখন অভিনব কৌশল অবলম্বন করছে অপরাধীরা। একেবারে চুরি না করে, ছিনতাইয়ের পর মালিকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে।
একজন সিএনজি মালিক বলেন, 'আমার সিএনজিটা সকালে ড্রাইভার নেওয়ার পর, এরপর সকাল ১১টার দিকে ড্রাইভার ফোন দিয়ে বলে কাকা আমার কাছ থেকে গাড়ি ধোঁকা দিয়ে নিয়ে গেছে। পরে টাকা নিয়ে গাড়িটা দিয়ে দেয়।’
সিএনজি চালক বলেন, 'একটু সামনে গিয়ে বলে এই ড্রাইভার সামনে একটু ব্রেক করো। আমি ব্রেক করছি তারপর বলে আমার ওই ড্রাইভারকে একটি গেটের সামনে ডাক দাও, সে যেহেতু আমার গাড়িটা ঠেলে দিয়েছে তাই আমি এটুকু করতে পারি। আমি ১ মিনিটের জন্য ডাকতে গেছি, এসে দেখি এই এক মিনিটের মধ্যে আমার গাড়ি নেই।'
সম্প্রতি সিএনজি চুরির একটি চক্রকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্য বলছে, কয়েকধাপে কাজ করে চক্রটি। রাজধানীর প্রায় প্রত্যোকটি এলাকায় তাদের সদস্য আছে। ছিনতাইয়ের পর মালিকের সঙ্গে টাকা নিয়ে মধ্যস্ততা করে অভিযুক্তদেরই একটি অংশ।
অভিযুক্তরা বলছেন, 'গাড়ির ড্রাইভারকে আমরা নিয়ে যাই। চোরেরা মালিকের সাথে যোগাযোগ করে। চোরেরা আমার নাম্বার দেয় দিয়ে বলে ওর সাথে যোগাযোগ করেন। তখন মালিক আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি মালিকের কাছে যায়। গেলে মালিক আমাকে টাকা দেয়।'
পুলিশ বলছে, এ চক্রের কয়েকজন কিছুদিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। বেরিয়ে আবারো অপরাধে জড়িয়েছে। অনেকে ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে সিএনজি ছাড়িয়ে আনলেও মালিক অভিযোগ করতে চায় না বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, 'এই চক্রের একটা সিন্ডিকেট আছে, তারা এক লাখ টাকা, দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। সেটা কখনো ৮০ হাজার, ৬০ হাজার বা এক লাখ টাকার বিনিময়ে দিয়ে দেন।'
সিএনজি চোর চক্রের অন্য সদস্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।