নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশের মানুষের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ হবে বলেও মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ’র ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার বিধিনিষেধ কার্যকরের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য খুশির নয়, লজ্জার। এ জন্য দায়ী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে প্রথমে স্যাংশন এসেছিল (২০২১ সালের ডিসেম্বর) র্যাব ও তাদের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এরপর দেখবেন সামগ্রিকভাবে ভিসানীতি (বাংলাদেশের জন্য ২০২৩ সালের ২৪ মে) গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া দেশগুলোর ওপর পড়েছে। যে দেশগুলো মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়, গায়ের জোরে গুম-হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই ভিসানীতি (কার্যকর শুরু ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর) নাকি আমদের সাংবাদিকরাও পড়বেন-মিডিয়ার কথা বলা হয়েছে। ভিসানীতিতে ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, বিচারক, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পড়বেন। বাদ থাকল কে; কেন এই জাতিকে এই অবস্থার মধ্যে পড়তে হল? অত্যন্ত ভয়ানক অবস্থার মধ্যে আমরা পড়েছি। অনেকে ওইভাবে চিন্তা করছেন না; অনেকে আছেন যে খুব খুশি হয়েছি আমরা। এটা তো খুশির ব্যাপার না, এটা লজ্জার ‘সেইম’।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ জন্য সম্পূর্ণ দায়ী শেখ হাসিনার ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী সরকার, যারা আজকে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতায় টিকে থাকার গোটা দেশ ও জাতিকে জিম্মি করে ফেলেছে। তাদের কথা শুনলে মনে হবে না যে এই দেশে কোনো ভদ্রলোক বাস করে, কোনো স্বাধীন মানুষ বাস করবে। এই দেশে শুধুমাত্র বাস করবে তারা, আর আমরা প্রজা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ও তার দলের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং দ্রুত সাজা দেওয়ার বর্ণনা দেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহানের একটি মামলা রায় পর্যায়ে আছে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ঢাকায় আমাদের বেশিরভাগ নেতাকর্মী তাদের নিজের বাসায় থাকতে পারে না। তারা অন্যত্র বাসা-ভাড়া করে থাকেন। প্রতিদিন তাদের মামলার হাজিরা দিতে আদালতে যেতে হয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ভাইয়ের ভাটারা থানার একেবারেই ঢাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলার ট্রায়াল হয়ে গেছে, আজকে রায় ছিল। এই যে মানুষের টেনশন। প্রতিটি মানুষকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। আমাদের দলের সব সিনিয়র নেতাদের মামলাগুলো প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ে একটি সেল তৈরি করেছে; কত দ্রুত সব সিনিয়র নেতাদের মামলাগুলো ট্রায়াল করে সাজা দিয়ে নির্বাচনে অবৈধ ঘোষণা করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, বিদেশে গিয়ে অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে যেসব কথা বলেন, তার কথায় বাংলাদেশকে দুই-শক্তির মধ্যে মুখোমুখি করে দিয়েছে । এটা বাংলাদেশের জন্য কখনো সুখকর নয়; এটা উদ্বেগজনক।
আমাদেরকাগজ/এইচএম






















